কাটা ওয়াশ কী, কিভাবে করবো?
জামদানী শাড়ি পুরোনো বা নরম হয়ে গেলে কিংবা ফাঙ্গাস পরলে, তাঁতীরা রোদের মধ্যে শাড়ির কোনাগুলা বেঁধে টান টান করে ধুয়ে তারপর মাড় দিয়ে থাকে, বিশেষ এই পদ্ধতিতে মাড় দিয়ে পুনরায় নতুনের মতন করে ফেলার পদ্ধতিকে বলা হয়ে থাকে কাটা ওয়াশ।
কাটা ওয়াশ করার পর বহু বছর আগের পুরানো শাড়ি দেখা যায় একদম নতুনের মতো । কাটা ওয়াশ এর জন্য প্রথমে খোলা জায়গায় রোদের মধ্যে শাড়ির ৪ কোনা ৪ টা খুটির মধ্যে টানটান করে বাঁধা হয়। শাড়ি টানটান না হলে কাটা ওয়াশ এর পর সুতা কুঁচকে শাড়ি ভাঁজ পড়ে যায়। তাই বাধাটা গুরুত্বপূর্ণ। এরপর শাড়ি পানি দিয়ে ধোঁয়া হয়। ধোঁয়ার পর ঐ অবস্থায় রোদে কড়কড়া করে শুকিয়ে নেয়া হয়। শুকনো কাপড়ের চারদিকে পাতলা চিকন লম্বা বেত দিয়ে শাড়িটিকে আরো টানটান করা হয়, যেনো কোথাও ভাঁজ না পরে।
বিশেষভাবে তৈরি করা ভাতের মাড় পাতলা চিকন কাপড়ে ছেঁকে নেওয়া হয়। ছাকার পর যে পাতলা মাড়টা থাকে তাঁতীরা তা হাতে নিয়ে দুই হাতে ঘসে ঘসে শাড়িতে মেখে দেয়। দক্ষ তাঁতীদের হাতের ছোঁয়ায় প্রতিটি সুতার ভিতরে মাড় ঢুকে যায়। তারপর হাত দিয়ে সুতার বুনন ঠিক করা হয়। এভাবে পুরো শাড়িতে মাড় দিয়ে কড়া রোদে আবার শুকানো হয়। শুকিয়ে গেলে শাড়িটি হয়ে যায় নতুন চকচকে জামদানী শাড়ি।
কাটা ওয়াশ করার সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল করতে হবেঃ
দক্ষ তাঁতীকে দিয়ে কাটা ওয়াশ করাতে হবে।
অনেক পুরোনো জামদানী শাড়ি বা ফাঙ্গাস পরা জামদানী শাড়ি যা হাতে একটু টান লাগলেই ফেঁসে যাবে এমন শাড়ি দেয়া যাবে না । তাহলে খুঁটিতে বাঁধার সময়ই ছিড়ে যেতে পারে ।
কাটা ওয়াশে দেয়ার আগে শাড়ির ডিফেক্টগুলো তাঁতীকে দেখিয়ে দিবেন, কাজ করতে সুবিধা হবে তাঁতির।